মাশরুম একটি খুব জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার। এটি বিভিন্ন খাদ্য পণ্যে ব্যবহৃত হয় এবং প্রায় সব পরিবারের টেবিলে এই মজার স্বাদের সবজি রয়েছে। মাশরুম চাষ করা খুব উপকারী এবং এটি আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুব লাভজনক। অনেকেই মাশরুম চাষ করার আগে বীজ ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ অনেকেই মাশরুম বীজের সঠিক দাম জানে না। মাশরুমের বীজ ক্রয় করার আগে অবশ্যই ভালো মানের উন্নত জাতের বীজ ক্রয় করতে হবে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাশরুম বীজ পাওয়া যায়। বীজের কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম কম বেশি হতে পারে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা সাধারণ গ্রাহকদের কাছে বেশি টাকা বিক্রি করে থাকে। এবং সঠিক দাম না জানার কারণে অনেক ক্রেতা রয়েছে তারা প্রতারিত হচ্ছে। বাজারে প্রধানত দুই ধরনের মাশরুম বীজ পাওয়া যায়। প্রথমত বাটন মাশরুম এবং দ্বিতীয়ত শীতকালীন মাশরুমের বীজ।
মাশরুম বীজের দাম
বর্তমানে মাশরুম বীজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে। এবং চাষাবাদ এর চাহিদা অনুযায়ী মাশরুমের বীজের দাম পরিবর্তিত হতে পারে। এবং এলাকা বেদ অনুযায়ী মাশরুমের বীজের দাম ভিন্ন হয়। বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে মাশরুম বীজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ প্রত্যেকটা খাবারে মাশরুম ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি মাশরুম বীজ বিক্রি হয় ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা।
মাশরুম বীজ বিক্রয় কেন্দ্র সাভার
বাংলাদেশের রাজধানীর মধ্যে সাভার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পরিচিত জায়গা। মূলত সাভারে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করা যায়। সাভারের সোবাহানবাগে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অফিসের সামনে বিশাল বড় মাশরুম ক্রয় বিক্রয় করার বাজার রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ মাশরুমের বীজ ক্রয় বিক্রয় করে। আপনি সাভারের সুবাহানবাগের বাজার থেকে কম মূল্যে পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের মাশরুমের বীজ ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
ঢাকায় মাশরুমের বীজ কোথায় পাওয়া যায়
ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় মাশরুম এর বীজ কেনাবেচা করার বাজার রয়েছে। সবচেয়ে বিখ্যাত হলো সাভারের সুবাহানবাগের মাসুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর প্রাঙ্গনে। সেখানে থেকে মূলত সবচেয়ে বেশি মাশরুমের বীজ কেনাবেচা করা হয়। আপনি এই বাজার থেকে তিন প্রকারের মাশরুম এর বীজ ক্রয় করতে পারবেন। প্রতিদিন ঢাকার আশেপাশে এবং অন্যান্য জেলা থেকেও মাশরুমের বীজ ক্রয় করে থাকে।
মাশরুম বীজ তৈরির পদ্ধতি
মাশরুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে। রান্না করলে দেখতে অনেকটাই মাংসের মত মনে হয়। প্রতিনিয়ত মাশরুম খাওয়ার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। অনেক কৃষক রয়েছে তারা মাশরুম চাষ শুরু করতে চাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে মাশরুম বীজ তৈরি করতে হবে এই পদ্ধতি গুলো অনেক কৃষকের জানা নেই। প্রথমত আপনাকে ভালো মাটিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে।
সাধারণত ল্যাবরেটরীতে দুটি পদ্ধতির মাশরুম বীজ উৎপাদন করা যায়। ১/ টিস্যু কালচার পদ্ধতি ২/ স্পোর কালচার পদ্ধতি। সাধারণত কৃষকরা টিস্যু কালচার পদ্ধতি মাশরুম বীজ তৈরি করে। প্রথমে গোল আলু ২৫০ গ্রাম, এগার এগার ২০ গ্রাম, গ্লুকোজ ২০ গ্রাম, স্পারসিন ২৫০ গ্রাম। এসব কিছু মিলিয়ে সাধারণ তাপমাত্রায় ল্যাব্রেটারিতে ১০-১৫ দিন রাখতে হবে। এভাবেই মাশরুমের বীজ সঠিকভাবে তৈরি করা সম্ভব।
শেষ কথা
বর্তমানে মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বীজ কেনার আগে দাম সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিলে আপনি ব্যবসার জন্য সবচেয়ে ভালো বীজ কিনতে পারবেন। এজন্য বাজার থেকে মাশরুম বিক্রয় করার আগে ভালো এবং উন্নত জাতের বীজ ক্রয় করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা এই পোস্টে বিভিন্ন ধরনের মাশরুম বীজের দাম উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বিস্তারিত মাসরুম বীজের দাম এবং বীজ তৈরির পদ্ধতি গুলো জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ